জালাল উদ্দিন রুমি এবং ইসলামিক রহস্যবাদ । চলুন জেনে নিই রুমি রহস্য

 জালাল উদ্দিন রুমি এবং ইসলামিক রহস্যবাদ । চলুন জেনে নিই রুমি রহস্য


জালাল উদ্দিন রুমি, এমন একজন মানুষ, শব্দের মাধ্যমে অপরিমেয় ভাবনা এবং ভাবনার মাধ্যমে মানবিক কল্যাণ সাধনার মহৎ প্রতিষ্ঠাতা। ১৩শ শতাব্দীর পরশু পারসি শত্রুপক্ষে জন্ম নেয়া মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি, ইসলামিক সুফি চরণের আলোকে আত্মগান এবং ভাবনার গহ্বরে ডুবে গিয়ে দুনিয়াভরে এক দর্শনিকে রূপান্তর করেছেন। তার কাজ সত্য এবং ভালোবাসার উপরে ভিত্তি করে, রুমি ইসলামিক রহস্যবাদের বাস্তবায়নে একটি মাধ্যম হিসেবে নিজেকে স্থাপন করেছেন বিশ্ব দরবারে।


জালাল উদ্দিন রুমি এবং ইসলামিক রহস্যবাদ । চলুন জেনে নিই রুমি রহস্য



ইসলামিক রহস্যবাদ এবং সুফি ধারার সম্পর্ক:


জালাল উদ্দিন রুমি ছিলেন একজন মুসলিম সুফি আরও বৃহত্তর ইসলামিক রহস্যবাদের সংস্করণে সমর্থক। সুফিজম একটি ইসলামিক ধারা, যা জীবনের উদ্দেশ্য হিসেবে আল্লাহর সাথে একত্রিত হওয়া এবং তার অমূল্য ভবিষ্যদ্বাণি অর্জন করার সাধনায় লিপ্ত হয়। সুফিজমে মানব জীবনের সমস্যার সমাধানের জন্য আত্ম-অনুসন্ধানের উপায়ে একটি সূত্র ছাড়া আর কিছু নেই। রুমির কাজে ইসলামিক রহস্যবাদ এবং সুফিজমের একটি সমন্বয় ঘটায় তার শ্রদ্ধাশীল অনুগামীদের মধ্যে সমঞ্জস্য তৈরি করেছেন।


জালাল উদ্দিন রুমির কবিতা এবং ভাবনা:


জালাল উদ্দিন রুমির কবিতা এবং তার ভাবনার মাধ্যমে আসলে ইসলামিক রহস্যবাদ এবং সুফিজমের ধারার সাথে পুরাণো বিশ্ব ধারার মধ্যবর্তী সমন্বয় সৃষ্টি করা হয়েছে। রুমির কবিতা বিশেষভাবে প্রেম এবং ভালোবাসার উপরে ভিত্তি করে, এবং তিনি মানবজীবনে তাত্পর্য বৃদ্ধি করতে প্রেমের মাধ্যমে অতীত এবং ভবিষ্যত্ এর মধ্যে একত্রিত হওয়ার উপায়ে এক সমন্বিত দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করতেন। ফলে তার এই কবিতা ভাবনা বিশ্ব দরবারে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে।


জালাল উদ্দিন রুমির লেখা কিতাবগুলো নাম:


জালাল উদ্দিন রুমির একাধিক কবিতা এবং লেখা রয়েছে, তার ধারাবাহিক ও সম্পূর্ণ কৃতিত্বের অবসানগ্রহণের জন্য একটি পূর্ণ তালিকা প্রদান করা কঠিন কাজ। তবে, তিনটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ কিতাবের মধ্যে একটি হলো "দিওয়ান-এ-শামস তাবরিজ," এই কৃতিত্বে রুমি তার প্রিয় বন্ধু এবং শিক্ষক শামস তাবরিজের সাথে হৃদয় যোগ করেছেন। এছাড়াও, রুমির অন্যান্য প্রমুখ কৃতির মধ্যে "মাসনভী," "দিওয়ান-এ-কবীর," এবং "মঠনবী" উল্লেখযোগ্য।


  • দিওয়ান-এ-শামস তাবরিজ (Divan-e-Shams Tabriz): এটি রুমির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃতি, যেখানে তিনি তার শিক্ষক এবং ভালোবাসা শামস তাবরিজের সাথে যোগাযোগ করেছেন।


  • মাসনভী (Masnavi): এটি রুমির অন্যতম প্রমুখ ও বিস্তৃত কৃতি, যা একটি প্রয়াসে তিনি মৌলানা জালালউদ্দিন মোহাম্মদ বিন রুমির জীবন এবং ভাবনার বৃদ্ধি করেন।


  • দিওয়ান-এ-কবীর (Divan-e-Kabir): এটি রুমির কবিতা সংকলন, যেখানে তিনি ভগবান এবং মানবজীবনের মূল্য সম্পর্কে আলোচনা করেন।



জালাল উদ্দিন রুমি এবং বৃহত্তর ইসলামিক রহস্যবাদের পূর্ণাঙ্গ অনুভূতি:


রুমির দরবারে গুলি ফেলা একটি অমূল্য ভাষা, যা একজন অনুগামীকে ভাবনা, প্রেম, এবং ইসলামিক রহস্যবাদের অদভুত প্রশ্নবোর্ষণ অর্জন করতে সাহায্য করে। রুমি ইসলামিক সুফি সাহিত্যে তার জীবন এবং কাজের মাধ্যমে একজন ভারতীয় দার্শনিক হিসেবে উজ্জিত হয়েছে, যার ভাবনা আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।


জালাল উদ্দিন রুমির বংশধারা:


রুমি, জালাল উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন মুসা আল-খামী, বা প্রসিদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন "মৌলানা রুমি," একজন সুফি মুসলিম শব্দকেন্দ্র ও কবি, যিনি ১২৭৩ সালে (ইসলামি সাল: ৬৭১ হিজরি) পেরসিয়ার বুঝপুর এলেপপে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বিশ্বাস করতেন যে, রুমির আগের আত্মগত গুরুত্বপূর্ণ সূফি ছিলেন আলাউদ্দীন চখনী, তবে এটি প্রমাণ করা হয়নি।


রুমির বাচ্চারা মৌলানা বাহাউদ্দীন বালখি বিন হুসেইন এবং মৌলানা মুহাম্মাদ সুলতান বিন আলাউদ্দীন হয়েছে। রুমির পরিবার তার প্রসিদ্ধ কাবুল দরবারের একটি দরবারের সদস্য ছিল। বাহাউদ্দীন বালখি হিসেবে তার পরিবারের নেতা হয়ে থাকেন, এবং সুলতান বিন আলাউদ্দীন তার ছেলে ছিলেন এবং একজন সুফি শিক্ষক হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন।


রুমির ছেলে সুলতান বিন আলাউদ্দীন রুমি, একজন ইসলামিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রাপ্ত করেন এবং তারপর উদ্দীপনার পথে চলার জন্য বাবার সাথে জুড়ে হোমানি রাসুল, একজন প্রখ্যাত ইসলামিক ফিলোসফারের কাছে যান। সুলতান বিন আলাউদ্দীন রুমি এর উপদেশের ফলে রুমি একজন প্রতিষ্ঠাতা হয়ে ওঠেন, যিনি প্রসিদ্ধ হয়ে একজন ভক্তিশীল এবং ভক্তিশীল সুফি হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকেন।


রুমির বাচ্চারা তাদের পিতার পথে অনুসরণ করে, এবং তারা একইভাবে ইসলামিক শিক্ষার কাছে দিক্ষা প্রাপ্ত করে এবং সুফি তালিমের অনুভূতি অর্জন করে। রুমির বাচ্চাদের মধ্যে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন মৌলানা জালাল আলদ্দীন মুহাম্মাদ বিন রুমি, যিনি পিতার মতোই একজন কবি, সুফি, এবং ভক্তিশীল ধারার নেতা হন।


রুমির বংশধারা তার বাচ্চাদের মাধ্যমে চলতে থাকে, এবং তার বচরাচোপে আদিবাসী বিষয়ে গভীর চিন্তা করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে বৃদ্ধি হয়েছে। রুমির উপদেশ এবং কবিতা পূর্বে বলা হয়েছে, "একটি ভাষা বদলে যায়, তবে সত্যি যেন না বদলে।" এই বক্তব্যটি রুমির বাচ্চাদের পোষণ করার জন্য একটি মহান ধারাকে নিশ্চিত করে, এবং এটি তাদের ধর্ম, ভাষা, এবং সূফি পরম্পরাগত অভিজ্ঞতা দেয়।



সমাপ্তি:


জালাল উদ্দিন রুমির কাজে এবং ইসলামিক রহস্যবাদের মাধ্যমে একজন ভারতীয় দার্শনিক এবং সুফি ধারার প্রতি তার শ্রদ্ধাশীল অনুগামীদের উৎসাহ বৃদ্ধি হচ্ছে। তার কবিতা, ভাষার সৌন্দর্য, এবং ভাবনা মাধ্যমে রুমি ইসলামিক রহস্যবাদ এবং সুফিজম বৃদ্ধি করার জন্য একটি মাধ্যম হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। রুমির উক্তি, "আমরা একসাথে আসছি, একসাথে থাকছি, এবং একসাথে ফিরতে যাচ্ছি" বলে আমাদের একটি মহৎ আদর্শ দেখায় - একত্র আসতে, একত্র থাকতে, এবং একত্র পুনঃপুনঃ ফিরতে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url