কোন রাত্রের নামায চারশত বছরের চেয়ে উত্তম? চলুন জেনে নিই হাদিসের আলোকে
কোন রাত্রের নামায চারশত বছরের চেয়ে উত্তম? চলুন জেনে নিই হাদিসের আলোকে
আমরা শেষ জামানার মানুষ। আমাদের হায়াত কম। অন্যান্য নবীর উম্মতগণ শত শত বছর এমনকি হাজার বছর পর্যন্ত হায়াত পেতো। তারা চাইলে অনেক বেশি ইবাদাত করতে পারবো কিন্তু আমাদের হায়াত কম, আমরা চাইলেও শত শত বছর ইবাদাত করতে পারি না। তাই আল্লাহ আমাদের জন্য কিছু অপূর্ব সুযোগ দিয়েছেন। আমরা চাইলে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে শত শত বছরের ইবাদাতের সমান সওয়াব হাসিল করতে পারি।
আজকে আমরা জেনে নিবো- কোর রাত্রের নামায চারশত বছরের চেয়ে উত্তম। চলনু তবে জেনে নিই-
রেওয়ায়েত-
বণির্ত আছে যে, একদা হযরত ইসা আ: সফর করছিলেন। হঠাৎ উঁচু একটা পাহাড়ে উঠে গেলেন এবং উচ্চ শিখরে দুধের চেয়েও অধিক সাদা একটি পাথর দেখতে পেলেন। হযরত ইসা আ: উক্ত পাথরের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে এটির চারপাশে ঘুরতে লাগলেন। হঠাৎ আল্লাহ তায়ালা ওহি পাঠালেন- হে ইসা, তুমিকি ইহার চেয়ে অধিক আশ্চার্য হবার মতো জিনিস দেখতে চাও? হযরত ইসা আ: বললেন- নিশ্চয়ই দেখতে চাই হে আল্লাহ।
পঠাৎ পাথরখানা ফেটে গেলো, আর খোদার ধ্যানে নিমগ্ন একজন বুজুর্গ দৃষ্টিগোচর হলো, যার দেহে পশমের জুব্বা, সন্মুখে আঙ্গুর, বেদানা ইত্যাদি ফল।
হযরত ইসা আ: অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলেন - হে বুজুর্গ, আপনি কে? এবং কতদিন যাবত এখানে থেকে আল্লাহর ইবাদাত বন্দেগী করে আসছেন? আপনার সন্মুখে ফল ফলাদী কোথা থেকে আসলো? বুজুর্গ উত্তারে বললেন-
আমিএকজন সাধরণ মানুষ। মায়ের দোয়ায় আল্রাহ তায়ালা আমাকে এই বুজুর্গী দান করেছেন। আর চারশত বছর যাবত আমি এই পাথরের ভিতরে আল্লাহর ইবাদাত করে আসছি। আর প্রত্যহ আমার আহারের জন্য আল্লাহ তায়ালর পক্ষ থেকে ফলমূল পাঠানো হয়ে থাকে।
এটা শুনে হযরত ইসা আ: বললেন- হে রাব্বুল আলামীন, আমার মনে হয় এর চেয়ে বড় আর কোনো বুজুর্গী সৃষ্টি করেন নাই। আল্লাহ তায়ারা ওহী পাঠালেন- হে ইসা, জেনে রাখো- আখেরী নবী মুহাম্মদ (সা;) এর উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি শাবান চাঁদের 15 তারিখ রাত্রে (শব ই বরাত) ইবাদাত করবে, তার ইবাদাত আমার নিকট এই বুজুর্গের চারশত বছর ইবাদাতের চেয়ে বেশী পছন্দনীয়। এটা শুনে হযরত ইসা আ: আফসোস করে বললেন-
হে আল্লাহ তায়ালা! আমাকের যদি নবী হিসাবে দুনিয়াতে না পাঠিয়ে আখেরী নবী মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মত হিসাবে দুনিয়াতে পাঠাতেন, তবে কতই না সৌভাগ্যবান হতাম! (কালয়ূবী)
হাদিস শরীফ:
হযরত রবিয়া ইবনে কাব রা: হতে বর্ণিত আছ, তিনি বলেন- আমি রাসুল সা: এর সাথে রাত্রি যাপন করতাম। একদা আমি হুজুর সা: এর অজুর পানি ও প্রয়োজনীয় ব্সতু দেয়ার জন্য হাজির হলাম। হুজুর সা: আমাকে বললেন- কি চাও বলো। আমি বললাম - আপনার সাথে জান্নাতে থাকতে চাই। হুজুর সা: বললেন- ইহা ছাড়া আর কি চাও? আমি বললাম- ইহাই চাই। তখন হুজুর সা: বললেন- তাহলে অত্যধিক নামজের দ্বারা আমাকে সহযোগিতা করো। (মুসলিম)
শেষকথা:
উপরোক্ত হেকায়াত ও হাদিসের দ্বারা আমরা জানতে পারি যে, আমাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। যাতে করে আমরা অন্য নবীগণের উম্মাতের চেয়ে বেশি সওয়াব হাসিল করতে পারি।
আর নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করে উভয় জাহানের সফলতা হাছেল করতে পারি। আল্লাহ আমাদের নেক আমলগুলোর বিনিময়ে আমাদের জন্য তৈরি করে রেখেছেন জান্নাত। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন।
.png)