জামাতে নামাজ না পড়লে কি হয়? চলুন জেনে নিই হাদিসের আলোকে

 জামাতে নামাজ না পড়লে কি হয়? চলুন জেনে নিই হাদিসের আলোকে



জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে হাদিসে খুবই গুরুত্বারুপ করেছেন। আমাদের উপর নামাজ মূলত জামাতের সাথেই ফরজ করা হয়েছে। তাই আমরা জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে উদাসিন হওয়া যাবেনা। জামাতের সাথে নামাজ না পড়লে নামাজ শুদ্ধ হয় না। প্রকৃতপক্ষে, নামাজ তো জামাতের সাথেই ফরজ; তবে শুধুমাত্র শর্ত সাপেক্ষেই একাকি নামাজ পড়ার অনুমতি আছে।

যদিও আমাদের সমাজে নারীরা একাকি নামাজ আদায়ের ব্যাপারে শরীয়াত অনুমতি দিয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে জামাত বাধ্যতামূলক। 


জামাতে নামাজ না পড়লে কি হয়? চলুন জেনে নিই হাদিসের আলোকে


জামাতে নামাজের গুরুত্ব:


মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: হতে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি জামাতের সাথে নামাজ পড়িতে অনসতা করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে 12 টা মুসিবত দ্বার াশাস্তি প্রদান করেন। তরমধ্যে 3 টা দুনিয়াতে, 3 টা মৃত্যুর সময়, 3 টা কবরে আর 3 টা কেয়ামতের দিনে।


দুনিয়ার 3 টা শাস্তি হলো-


  1. আল্লাহ তায়ালা তার রিকিকের বরকত উঠিয়ে নেন।
  2. তার নুর বিলুপ্ত করে দেন।
  3. সে ব্যক্তি মুমিনদের অন্তরে ঘৃণিত হবে।


মৃত্যুর সময়ের ৩ টা শাস্তি হলো-


  1. পিপাসিত অবস্থায় তার মৃত্যু হবে।
  2. অত্যাধিক কষ্টের সাথে তার রুহ শরীর থেকে বের করে নেওয়া হবে।
  3. মৃত্যুর সময় ইমান নসিব হওয়ার সম্ভাবনা কম।


কবরের ৩ টা শাস্তি হলো-


  1. মুনকার নাকির ফেরেস্তাদ্বয়ের প্রশ্ন কঠিন হবে।
  2. কবরে ভয়াবহ অন্ধাকর হবে।
  3. কবর সংকির্ণ হবে এমনভাবে যে, তার পাজরের সাথে পাজর মিশিয়া যাবে।


কিয়ামতের ৩ টা শাস্তি হলো- 


  1. হিসাব কঠিন হবে।
  2. আল্লাহ তার প্রতি রাগান্বিত থাকবেন।
  3. আল্লাহ তায়ালা তাকে জাহান্নামের আজাব দ্বারা শাস্তি দিবেন।


নামাজের গুরুত্ব : 


আবু আইয়ুব আনছারি রা: হতে বর্নিত তিনি বলেন- একদা এক ব্যক্তি হুজুর সা: নিকট এসে বলল- ইয়া রাসুল আল্লাহو আমাকে সংক্ষিপ্ত একটি নছিহত করুন। হুজুর পাক সা: বললেন- যখন নামাজ পড়و জীবনের শেষ নামাজ মনে করো। এমন কথা কখনও বলিও না, যার কারণে পরে অনুতপ্ত হতে হয়। মানুষের ধন সম্পদ হতে বাসনাহীন হও। (মুছনাদে আহমদ)


পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। ফরজ নামাজগুলোর সাথে সাথে কিছু সুন্নাত ও ওয়াজিব নামাজও রয়েছে। আমাদের জন্য এগুলো আদায় করা খুবই জরুরি। কেননা, কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে।



আলোচ্য হাদিসগুলো দ্বারা আমরা নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত জানতে পাড়ি। সাতে সাথে নামাজ জামাতের সাথে আদায়ের গুরত্ব বুঝতে পারি। আমাদের উপর আল্লাহ তায়ালা নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। নামাজের নিয়মাবলী আল্লাহর রাসূল সা: আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। এছাড়াও পবিত্র কোরান মাজিদে নামাজের কথা প্রায় ৮২ বার বলেছেন। তাতেই আমরা নামাজের গুরুত্ব বুঝতে পারি। 

তাই আমাদের উচিৎ হলো- দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url