কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস- hadith01; যা ইয়াদ রাখা জরুরি
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস- hadith01; যা ইয়াদ রাখা জরুরি
ইসলাম ধর্মের 2য় স্তম্ভ হাদিসে রাসূল (সা:) । এগুলোকে কোরান মাজিদের সর্বোত্তম ব্যখ্যাও বলা হয়ে থাকে। মুয়জামুল কোরান এর ব্যখ্যার প্রয়োজন হয়েই থাকে। এর কোরান মাজিদের উত্তম ব্যখ্যাই তো হাদিসে রাসূল (সা:) । এছাড়াও মুমিন জীবন শরীয়া মোতাবেক পরিচালনার জন্য হাদিস এর কোনো বিকল্প নেই।
তাই আজকে আমরা কয়েকটি হাদিস একত্রে প্রকাশ করার ইচ্ছা করছি।
যার জবান ঠিক নাই, তার ইমানও ঠিক নাই: হাদিস -01
হযরত আনাছ ইবনে মালেক রা: হতে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা:) এরশাদ করেছেন যে, - বান্দার ইমান ঠিক হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত তার জবান ঠিক হয় না। মুমিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার প্রতিবেশীগণ তার গিবত সেকায়াত ও বিভিন্ন প্রকাররের কুৎসা বলা থেকে বিরত না থাকে।
(দুররাতুন নাছিহীন)
আলোচ্য হাদিসের মাধ্যমে এ কথা পরিস্কার হলো যে, যে ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির গিবত সেকায়াত বা পরচর্চা হতে বিরত নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পরবে না। কেননা- এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই স্বরূপ। আমরা জানি যে, প্রতিবেশীর হকের ব্যাপারে রাসূল (সা:) এর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ফলো আমাদের উচিৎ আমরা একে অন্যের প্রতি বিষোদগার করা হতে বিরত থাকা।
হাসিদ-02
হযরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্নিত আছে, তিনি বলেন- মহানবী (সা:) বলেছেন- যখন কোনো বান্দা জেনা করে অথবা মদ পান করে তখন তার ইমান তার থেকে বের হয়ে ছায়ার মতেহা অবস্থান করে। যখন সে উক্ত কর্ম হতে অবসর হয়, তখন তা আবার ফিরে আসে। (মিশকাত শরীফ)
উক্ত হাদিস দ্বারা মদ পান আর জেনার মতো কবিরা গুনাহর গুনাহ থেকে বেচে থাকার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
চিন্তা করুন যে, এহেন গুনাহের সময় মানুষের ইমান তার দেহ হতে আলাদা থাকে। এমন অবস্থায় যদি কারো মৃত্যু ঘটে নি:সন্দেহে সে ইমানহীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে। আর ইমান হীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামে যাবে। যেখানে রয়েছে ভয়াবহ আজাব।
সুতরাং আমাদের উচিৎ আমরা হাদিসদ্বয়ের উপর আমল করে আমাদের ইহকাল ও পরকাল দুটিকেই বাচানো। আমরা যেহেতু মৃত্যুকে বরণ করে, আমাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, তাই আমাদের উচিৎ আমরা হাদিসের আলোকে জীবন সাজিয়ে প্রস্তুতি নেয়া। যাতে করে আমরা নবী (সা:) েএর শুপারিশপ্রাপ্ত হতে পারি।
.png)